শেরপুরে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় রবিউল ইসলাম নোমান ওরুফে জেকসন (২৭) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম নোমান পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার টেংরাগাতী পাড়েরহাট এলাকার আব্দুল লতিফ সরদারের ছেলে। তবে সে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শেরপুর শহরের উত্তর গৌরীপুর এলাকার অধিবাসী ও শেরপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবাদে পরিচয় হয় রবিউল ইসলাম নোমান ওরুফে জেকসনের। একপর্যায়ে তাদের মাঝে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে উঠে। এরপর ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুবক জেকসনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ওই কলেজছাত্রী শহরের মুন্সিবাজারে ভূঁইয়া প্লাজার সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছলে জেকসন ফুসলিয়ে তাকে অপহরণ করে।

অন্যদিকে কোচিংয়ের কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে আসা ওই কলেজছাত্রী বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরদিন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে তাকে অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে একই বছরের ১৭ এপ্রিল রবিউল ইসলাম নোমান ওরুফে জেকসন এবং তার ২ বন্ধু খালিদ হাসান ও দেলোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে অপহৃত কলেজছাত্রীকে উদ্ধারসহ প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে।

এরপর তদন্ত শেষে একই বছরের ২৪ আগস্ট একমাত্র জেকসনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার এসআই আনছার আলী। ওই মামলায় ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু একমাত্র আসামি জেকসন দীর্ঘদিন হাজতবাসের পর জামিনে গিয়ে পালিয়ে যায়।